Dinajpur is a land of opportunity. Its diverse terrain that presents a potential of different crops and underground natural resources if extracted can supply the nation with at least one third of its energy needs. Flood protection or construction rocks and granite are found in here only.
For hundreds of year Dinajpur is a land of sufficiency. It produced enough cereal and exported to other districts.
মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত ব্রাম্মীলিপি থেকে এখন ঐতিহাসিকরা একমত যে দিনাজপুর জেলা মৌয্য’ সাম্রাজের (খৃঃপুরব ৩২৪ -২৩২)অন্তভুক্ত ছিল।
সেন শাসনের পতনের পর, বাংলার প্রথম মুসলিম বিজেতা বখতিয়ার খিলজীসহ সুলতানী আমলের বিভিন্ন স্থানে যে রাজধানী সমুহ ছিল সেগুলি হচ্ছে কোটিবষ’, দেবকোট, পান্ডুয়া, মাহিসন্তোষ, বরবকাবাদ সবই প্রাচীন দিনাজপুর অঞ্চলের অধিনে।
সুলতানী যুগে আফগান পাঠানেরা ঘোড়াঘাটকে কেন্দ্র করে যে শক্তি গড়ে তুলেছিল তা মোগলদের পক্ষে ছিল প্রায় অপ্রতিরোধ্য। মোগল বাংলার ইতিহাসে ঘোড়াঘাট একটি সরকার (প্রশাসনিক জেলা) যার আয় আইন-ই-আকবরী মতে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা নিদি’ষ্ট ছিল। সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে ঘোড়াঘাট থেকে রাজস্য বিভাগ তুলে নিয়ে ঢাকায় (জাহাঙ্গীরনগর) স্থাপন করার পর পরই ঘোড়াঘাটের অবনতির সুচনা হয় এবং বাংলার একটি সুপ্রাচীন নগরী ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে যেতে শুরু করে।
১৭৬৫ সালে কোম্পানী শাষনভার গ্রহনের সময় দিনাজপুরের নাম পাওয়া যায়। তখন এর আয়তন ছিল ২,১১৯ বর্গ মাইল। ১৮০৮ সালে হ্যমিল্টন বুকানণের বিবরণ থেকে জানা যায় এর আয়তন ৫,৩৭৪ বর্গমাইল। ১৮৭২ সালের প্রথম আদম শুমারির কমিশনার মিঃ বেভালির রিপোর্ট অনুযায়ী দিনাজপুর ৪,১৪২ বর্গমাইলের ১৮,০১,৯২৪ লোকসংখার এক জেলায় উপনীত হয়।
১৯০৪ সালে মুহকুমা বিভক্তিতে ঠাকুরগাও ১,১৭১ বর্গমাইল এবং সদর ১,৫৯৮ বর্গমাইল যা ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগ পর্যুন্ত অপরিবর্ত্তিত ছিল।
১৯৮৪ সালে সমস্ত মহকুমা জেলায় উন্নীত হলে সাবেক দিনাজপুর জেলা তিনটি জেলায় বিভক্ত হয়।
জেলার নাম থানার সংখ্যা আয়তন লোকসংখ্যা
দিনাজপুর ১৩ ১,৪৯৪ বঃমাঃ ২,২৬০,১৩১
ঠাকুরগাঁও ৫ ৭০২ বঃ মাঃ ১,০১০,৯৪৮
পঞ্চগড় ৫ ৫৪৩ বঃ মাঃ ৭১২,০২৪
দিনাজপুর বরেন্দ্রভুমির প্রাচিন জনপদ, তবে প্রাচীনকালের তথ্যের বেশ অভাব। একটি অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক অবস্থা গড়ে উঠে গ্রামীন অর্থনীতি সংগঠন এবং উত্তপাদন সম্পর্কের সাথে সংগতি রেখে। আপাতদৃষ্টিতে উপমহাদেশের আর্থ-সামাজিক কাঠামো শতাব্দীর পর শতাব্দী নিরবিছিন্নভাবে অপরিবর্ত্তিত ছিল বলেই স্বাভাবিকভাবে গ্রামীন সমাজ ছিল স্বাবলম্বি এবং স্বয়ংসম্পুর্ণ আর উৎপাদনের সীমাবদ্ধতায় চাহিদাও ছিল সীমাবদ্ধ।
‘উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে জমির স্বল্পতা বা খাদ্যের অভাব না থাকা স্বত্বেও দিনাজপুর জেলার অধিবাসীদের মধ্যে আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ ততবেশী পাওয়া যায় না। তার প্রধান কারন হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য রপ্তানীর সুযোগ কম থাকায় উদ্বৃত্ত ফসলে তারা আর্থিক দিক দিয়ে বিশেষ লাভবান হতনা। ফলে খাদ্য সংকট না থাকলেও কৃষিজীবি সম্প্রদায়ের হাতে নগদ অর্থ থাকত অতি সামান্য।
এদিক দিয়ে তুলনা করলে জেলার উত্তরাঞ্চলের জোতদাররা দক্ষিণাঞ্চলের জোতদারদের চেয়ে কম সমৃদ্ধশালী ছিল কারণ দক্ষিনাঞ্চলের জোতদাররা পাইকারী কারবারে খুবই অগ্রগামী ছিল যা উত্তরাঞ্চলীয় জোতদারদের মধ্যে ছিল পুরোপুরি অনুপস্থিত।‘ (এফ, ও বেল, ফাইনাল রিপোর্ট অন দি সার্ভে এন্ড সেটেলমেন্ট অপারেশন ইন দি ডিস্ট্রিক অব দিনাজপুর ১৯৩৪-৪০)
উনবিংশ শতাব্দির মধ্যভাগ থেকে কৃষি পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে উদ্ধৃত্ত ভুমি ও ফসলের দেশ দিনাজপুর জেলায় কৃষিজীবি সম্প্রদায়ের মধ্যে স্বচ্ছলতার সুচনা হয়।
‘সরকারী রাজস্ব প্রদানের ক্ষেত্রে তৎকালিন সময়ে দিনাজপুর ছিল সর্বচ্চ রাজস্ব প্রদানকারী জেলা।(দিনাজপুর জেলা গেজেটিয়ারস ১৯১২, পৃঃ-১০২) ফলে উনবিংশ শতাব্দির মাঝামাঝির পর থেকে গ্রামাঞ্চলে এক শক্তিশালী জোতদার শ্রেণীর উদ্ভব হয়।
তবে জনজীবনে বিরাট পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় এই শতাব্দীর প্রথমার্ধের সাথে শেষার্ধের।কৃষিকাজ লাভজনক হওয়ায় বহু জঙ্গলাকীর্ণ জমি চাষের আওতায় নিয়ে আসেন জোতদারগন। এতে সাধারণ বা ভুমিহিন কৃষকদের আর্থিক অবস্থার বিশেষ উন্নতি পরিলক্ষিত হয়নি। জংলীজমি চাষযোগ্য করার শ্রম এ জেলার কৃষকরা এড়িয়ে চললে বিহার এবং ঝাড়খন্ড এলাকা থেকে আদিবাসীদের এনে চাষাবাদে লাগান হত। এদিকে সাধারণ কৃষকদের বিবাহ, উৎসব এসব কারনে মহাজনের দারস্থ হতে হত এবং চক্রবৃদ্ধি হারের চড়া সুদ কখনই পরিশোধ করতে পারত না। এতদসত্তেও উনবিংশ শতাব্দীর দিনাজপুর জেলার কৃষক সমাজ রংপুর জেলার কৃষকদের মত অনাহারে দিন কাটায়নি বা দুর্ভিক্ষের কবলে বারবার নিপতিত হয়ে দুমুঠো ভাতের জন্য নিজ ভিটামাটি ছেড়ে অন্য জেলায় চলে যেতে হয়নি। এছাড়াও দিনাজপুরের জোতদার শ্রেণীর অত্যাচার ও মহাজনী সুদের কারবার রংপুর জেলার মত এত অমানবিক ও নির্মমও ছিল না।
Admin – dinajpurbd.com
(based on a book written by Dr. Muhammad Muniruzzaman called Dinajpur Rangpur jillar shikhya biborton -1765-1921